September 19, 2024, 10:33 pm
সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সোনাতলায় পুর্ব শত্রুতার জেরে হত্যার চেষ্টায় রুপালি বেগম নামের ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধুর পেটে লাথি দেয়ার ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধূ উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের কর্নিপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বাকীর ছেলে আবু তালেব ওরফে সবুজ এর স্ত্রী। এঘটনায় আবু তালেব বাদি হয়ে সোনাতলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের কর্নিপাড়া গ্রামের মৃত আঃ বাকীর ছেলে মোঃ আবু তালেব ওরফে সবুজ এর সাথে একই ইউনিয়নের রাখালগাছি গ্রামের মৃত চতু ডাক্তারের ছেলে নুরুল ইসলামের দির্ঘদিন যাবৎ জায়গা জমি ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ সহ মনোমালিন্য চলে আসছিল।
এদিকে ২১ এপ্রিল রোববার সকালে আবু তালেব তার ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজনদের সাথে নিয়ে অটোভ্যান যোগে সোনাতলা হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। যাবার পথে দিঘিরপাড়া মাদ্রাসার সংলগ্ন রাস্তায় পৌঁছালে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে রাখালগাছি গ্রামের মৃত চতু ডাক্তারের ছেলে নুরুল ইসলাম, মৃত হারুনের ছেলে সাকিব সহ অজ্ঞাত আরো ১/২ জনকে সাথে নিয়ে তাদেরকে পথরোধ করে। এরপর তারা অতর্কিত ভাবে আক্রমন করে আবু তালেব সহ তার পরিবারের সকলকে অটোভ্যান থেকে টানা হেচড়া করে নিচে নামিয়ে এলোপাথাড়ী কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। অপরদিকে নুরুল ইসলাম আবু তালেব এর ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি দিলে সে চিৎকার করে মাটিতে পড়ে যায়।
এসময় তাদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা আবু তালেব সহ তার পরিবারের লোকজনদের হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় লোকজন ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে ওই গৃহবধূর সময়ের পুর্বেই তার বাচ্চা প্রসব করে এবং মা ও শিশু দুজনেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এতে গৃহবধূ ও তার শিশু দুজনেই মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে।
এবিষয়ে হাসপাতালের গাইনি ডাক্তারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বাচ্চা প্রসবের পর মা ও শিশু দুজনেই প্রায় দুই ঘন্টা অজ্ঞান অবস্থায় ছিলো। তিনি আরো জানান শিশুটির জন্য ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ বাবু কুমার সাহা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(ফয়সাল আহম্মেদ)